জনপ্রতি ফিতরা ১১০ থেকে ২৮০৫ টাকা পর্যন্ত
এ বছর বাংলাদেশের জন্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর (২০২৪) ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ৯৭০ টাকা।
মঙ্গলবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের ফিতরার পরিমাণ ঠিক করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খতিব মুফতি মাওলানা আবদুল মালেক উপস্থিত ছিলেন, এবং কমিটির সদস্যসহ বিশিষ্ট আলেমরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এ বছর ফিতরার হিসেবে গম, আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের মধ্যে যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য প্রদান করা যেতে পারে। গম বা আটা দিয়ে ফিতরা দিলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা ১১০ টাকার সমপরিমাণ, যব দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ৫৩০ টাকার সমপরিমাণ, খেজুর দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ২ হাজার ৩১০ টাকার সমপরিমাণ, কিশমিশ দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ১ হাজার ৯৮০ টাকার সমপরিমাণ এবং পনির দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ২ হাজার ৮০৫ টাকার সমপরিমাণ ফিতরা প্রদান করা যাবে।
ফিতরার এই পরিমাণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্য অথবা এর বাজার মূল্য দ্বারা ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রা.) রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মো. জাকির হোসেনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে।
ইএইচ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta