প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়ি থেকে উপজেলা শিবির সেক্রেটারী গ্রেফতার
এখনো তরুণদের মতোই প্রাণবন্ত ও কর্মমুখর, বয়সের ছাপ তার মধ্যে নেই। তারুণ্যের শক্তিতে বিশ্বাসী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখনো নিজেকে একজন উদ্যমী তরুণ হিসেবে দেখেন। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে ভরপুর তিনি সারাক্ষণ পৃথিবীকে ভালো করার জন্য ভাবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকা এই মহান ব্যক্তিত্ব শুধু দেশের উপদেষ্টা নন, তিনি বিশ্বের তরুণদের আইকন। তার দর্শন অনুযায়ী, তরুণদের শক্তি ব্যবহার করলেই পৃথিবী পরিবর্তন সম্ভব। যুদ্ধ, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন—এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। তরুণদের নেতৃত্বে এবং পরিকল্পনায় যুক্ত করা দরকার। ড. ইউনূস সারাজীবন তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে তারা তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারে।
বাংলাদেশ যখন স্বৈরাচারের শাসনে জর্জরিত ছিল, তখন তরুণদের এক অভূতপূর্ব আন্দোলন শুরু হয়। এটি ছিল তাদের জাগরণের প্রমাণ, একটি প্রতিবাদ। দুর্নীতি, অনিয়ম, এবং শাসকের কর্তৃত্ববাদিতার বিরুদ্ধে তরুণদের এই প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। ড. ইউনূস এই আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছিলেন, জানতেন তরুণরাই মুক্তি আনতে সক্ষম। তারা যখন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জয়ী হয়, তখন তারা এমন একজন নেতার খোঁজে ছিলেন যিনি তাদের সঙ্গে নেতৃত্ব দেবেন। তরুণদের আত্মবিশ্বাসে ড. ইউনূস ছিলেন তাদের মূল সমর্থক। তিনি জানতেন, তরুণদের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, তাই তরুণদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
তারুণ্যের প্রতি ড. ইউনূসের অগাধ বিশ্বাস তাকে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে তরুণদের যুক্ত করার পথে পরিচালিত করেছে। অনেকেই তার এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বরাবরই তরুণদের শক্তিতে বিশ্বাস করেন। তার বিশ্বাস, তরুণরা যে কোনো সমাজকে বদলে দিতে সক্ষম। সামাজিক ব্যবসা এবং ‘তিন শূন্য তত্ত্ব’-এ তারুণ্যের মূল ভূমিকা ছিল, কারণ ড. ইউনূস জানতেন, তরুণরা নতুন চিন্তা এবং উদ্ভাবন নিয়ে আসতে পারে যা পৃথিবীকে বদলে দিতে সাহায্য করবে।
ড. ইউনূসের শিক্ষা, সামাজিক ব্যবসা, এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সবই তরুণদের জন্য তৈরি। তিনি তাদের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, তাদের মতামত গ্রহণ করেছেন, এবং তাদের জন্য একটি নতুন পৃথিবী গড়ার উপায় বের করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে তরুণরা শুধু চাকরি খুঁজবে না, বরং নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে সমাজ পরিবর্তন করবে। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে তরুণরা বিশ্বের বড় বড় সমস্যা সমাধান করছে। ড. ইউনূস জানতেন, তরুণদের শক্তি কাজে লাগানোর মাধ্যমে পৃথিবীকে উন্নত করা সম্ভব।
বিশ্বের তরুণদের একজন উজ্জ্বল উদাহরণ এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর চিন্তা, কাজ, এবং দৃঢ় বিশ্বাস তাকে এক অনন্য অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তিনি এখন বিশ্ব তারুণ্যের কণ্ঠস্বর, তাদের নেতা, এবং পথপ্রদর্শক। তরুণরা যে কোন বাঁধা অতিক্রম করতে পারে, তা তার জীবনের প্রকৃত প্রমাণ। তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণরা একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়তে সাহায্য করবে, আর ড. ইউনূস সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta