আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস
আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। বনভূমি ধ্বংস, চোরা শিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিবছর পৃথিবী থেকে কিছু বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বা বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। এসব প্রাণীর সংরক্ষণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস প্রথম ঘোষণা করেছিলেন জার্মান লেখক ও প্রকাশক হেনরিক জিম্মারমেন। তিনি ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জার্মানির বার্লিনে প্রথম এই দিবস উদযাপন করেন। সেখানে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন।
১৯২৯ সালে প্রথমবারের মতো ৪ অক্টোবর এই দিবসটি পালিত হয়। প্রাথমিকভাবে এটি জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং চেকোস্লোভাকিয়া দেশগুলোতে উদযাপিত হতো। ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমানে এটি একটি আন্তর্জাতিক দিবস হয়ে উঠেছে এবং ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রাণী কল্যাণ চ্যারিটি এটি পরিচালনা করছে।
জাতিসংঘের এক তথ্যমতে, বর্তমানে বন্যপ্রাণীর বিলুপ্তির হার গত ১০ লাখ বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হল লাতিন আমেরিকা এবং আমাজনে বনভূমি ধ্বংসের হার। ইতিমধ্যে ১৭ শতাংশ বনভূমি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, আর ১৭ শতাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩১টি। তবে সংস্থাটি দাবি করছে, বাংলাদেশে ১ হাজার ৬০০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, এর মধ্যে ৩৯০টি প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আধুনিক নগরায়ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যপ্রাণীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। আমরা সবসময় বন উজাড় রোধে চেষ্টা করছি।
২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta