পাঠ্যপুস্তকে আল মাহমুদের রচনা পুনর্বহাল এবং কবির সাহিত্যচর্চার জন্য ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি ও নজরুল গবেষক মো: জেহাদ উদ্দিন মন্তব্য করেন, ‘গত ১৫ বছরে এক ধরনের প্রতিহিংসার কারণে ফ্যাসিবাদী সরকার আল মাহমুদের অনেক কবিতা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিয়েছে। এমনকি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কবির একটি বিখ্যাত কবিতাও পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নজরুলের পাশাপাশি কবি আল মাহমুদের সাহিত্যকে পাঠ্যপুস্তক ও উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।’
তিনি বাংলা ভাষার এই প্রধান কবির নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানান।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মিরপুরে লালকুঠি সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে আল মাহমুদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও চার কবি-গবেষককে পুরস্কৃত করার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কবি আমিন আল আসাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন লালকুঠি সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহসানুল হাদী। তিনি বলেন, ‘আল মাহমুদ ছিলেন বাংলার সাধারণ মানুষের কবি এবং এদেশের বৃহত্তর জনগণের বিশ্বাসের প্রতিনিধি।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা আল মাহমুদের মৃত্যুর পর তার দেহ শহীদ মিনারে নেওয়া না দেওয়ার এবং নিজ ভিটেতে দাফন না করে গণ কবরস্থানে দাফন করার ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন।
এ বছর কবি আল মাহমুদ চর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য চার গবেষককে পদক প্রদান করা হয়। তারা হলেন- অধ্যাপক কবি মহিবুর রহিম, কবি সাজ্জাদ বিপ্লব, কবি আবিদ আজম ও কবি শাকিল মাহমুদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta