রংপুর প্রাণী উদ্যাণ
রংপুরে শীতের সাথে প্রবাহিত হচ্ছে হিমেল বাতাস, আর ঝরছে ঘন কুয়াশা। এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীদেরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রংপুরের বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানার প্রাণী ও পাখিরা শীতের তীব্রতায় খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশেষত দুটি সিংহ খুবই কাহিল অবস্থায় রয়েছে। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, শীতে প্রাণী-পাখিদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
দেশের দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুর একটি। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ৩১ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুটি বাঘ, দুটি সিংহ, তিনটি জলহস্তি, আটটি ময়ুর, ৫৯টি হরিণ, দুটি অজগর সাপ, তিনটি ইমু, একটি উটপাখি, নয়টি বানর, একটি কেশওয়ারি, আটটি গাধা, দুটি ঘোড়া এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
শীতের কারণে এবং বয়স বেশি হওয়ায় সিংহ দুটির শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। খাঁচার মধ্যে রুম হিটার দিয়ে তাপ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘোড়ার গায়ে কম্বল পরানো হয়েছে। এছাড়া অন্য প্রাণীদের উষ্ণ রাখার জন্য খড় ও চট ব্যবহার করা হচ্ছে। শীতের কারণে হরিণ, বানর, ঘোড়া, গাধা, বাঘ, সিংহ, উটপাখি, ইমু এবং অন্যান্য পশু-পাখির অবস্থা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত সূর্য বের হয়নি। প্রতিটি খাঁচার ভেতরে প্রাণী-পাখিগুলো একত্র হয়ে বসে ছিল। বানরগুলোও খাঁচার কোণে চুপচাপ বসে ছিল।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আম্বর আলী তালুকদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সিংহ দুটির বয়স বেশি হওয়ায় তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সিংহের খাঁচায় রুম হিটার দেয়া হয়েছে এবং শীতকালীন প্রাণীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। যেসব প্রাণী শীত সহ্য করতে পারে না, তাদের খাঁচার চারপাশে চট ও খড় দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta