যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশি অভিযান, এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়ির কাছাকাছি পাওয়া গেল মরদেহ।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। আজ রোববার (৬ জুলাই) ভোরের দিকে মৃধাকান্দায় তার বাড়িতে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়। পুলিশ আমজাদকে না পেয়ে ফিরে যায়। পরে তার বাড়ির পাশে ধঞ্চেখেত থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মো. আমজাদ হোসেন নবাবগঞ্জ উপজেলার একজন বাসিন্দা ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ভোরে মৃধাকান্দায় তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পরে স্থানীয়রা ধঞ্চেখেত থেকে অচেতন অবস্থায় আমজাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ভোরে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে এসে অভিযান পরিচালনা করে এবং চারপাশে অবস্থান নেয়। কিন্তু আমজাদ বাড়িতে না থাকার কারণে পুলিশ চলে যায়। পরিবার initially ভেবেছিল তিনি মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে গেছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে ধঞ্চেখেতের পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পরিবারের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, আমজাদ একটি চেক জালিয়াতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অন্যান্য একাধিক মামলা রয়েছে। তার গ্রেপ্তারের জন্য ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল, তাই পুলিশ ভোরে তাকে ধরতে গিয়েছিল। পরে তাকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে আসে।
ওসি আরও বলেন, “পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে সম্ভবত তিনি ভয় পেয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।”
পরিবারের সন্দেহের কারণে লাশ উদ্ধার করার পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এই ঘটনায় থানায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta