গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের কথা নাকচ করলেন ট্রাম্প
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১২ মার্চ) ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার এই অবস্থান আগের বক্তব্যের বিপরীত, যা নতুন করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।
গত মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। এ বিষয়ে তিনি মিসর ও জর্ডানের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন, যাতে তারা গাজার বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে।
ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল গাজাকে বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র ‘রিভেরা’তে রূপান্তর করা। এমনকি তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গাজার ‘রিভেরা সংস্করণের’ একটি ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন।
গাজার দখল নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আলাদা কোনো ক্ষমতা প্রয়োজন নেই।" তার এই বক্তব্যের পর গাজার জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
হামাসের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে হামাস। সংগঠনের মুখপাত্র হাজেম কাশেম কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, "এটি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা।"
এদিকে, বুধবার (১২ মার্চ) কাতারে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে গাজার পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। এই আলোচনার পরই গাজা নিয়ে নিজের অবস্থান বদলান ট্রাম্প।
সম্প্রতি মিসর গাজার পুনর্গঠনের একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে, যা কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে আরব লিগ অনুমোদন দিয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞদের একটি দল ছয় মাস ধরে গাজার পুনর্গঠনের কাজ পর্যবেক্ষণ করবে। প্রাথমিক পুনর্গঠন শেষ হলে গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সূত্র: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/আশিক
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta