জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট ড. মো. সাইফুল ইসলামের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১২ মার্চ) ইফতারের পর বিদ্রোহী হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার আগেই সিট বাতিল ও শিক্ষার্থীদের অপমানের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজন করা ইফতার বয়কট করে বিদ্রোহী হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে গেস্ট হাউজের সামনে অবস্থান নিয়ে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিসমূহ হলো-

১. শিক্ষার্থীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অপমানজনক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রভোস্ট স্যার তার দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার স্থলাভিষিক্ত কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে এই দায়িত্ব দেবেন এবং প্রভোস্ট স্যারের এমন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে হবে।

২. স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন প্রস্তুতির জন্য রেজাল্ট পরবর্তী ৩ মাস সময় দেওয়া উচিত।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো কেন্দ্রীয় আয়োজনে (বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ইফতার) আবাসিক ও অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীদের মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. সকল হলের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং হলের সব সুযোগ সুবিধা (বিনামূল্যে ওয়াইফাই, ভাত-ডাল, উন্নত খাবার এবং নিরাপত্তা) নিশ্চিত করতে হবে।

পরে ঘটনাস্থলে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থীদের সকল দাবি আগামী রবিবারের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন বলে ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে।

সালাউদ্দিন/সাএ