কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলেও শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের হামলার বিচার, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অন্যান্য যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বুধবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটি বড় সাফল্য। তবে এই আইন বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আমরা এখনও সন্দিহান। ২৯ জানুয়ারি কুয়েট ছাত্রদলের ফ্রন্ট, ভয়েজ অব কুয়েটের বিরুদ্ধে কথা বলায় ভিসি অফিসের সেকশন অফিসার মো. ইমদাদ মোড়ল এক শিক্ষার্থীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেন। এছাড়া কুয়েট প্রশাসনের বিরুদ্ধে কিছু প্রহসনমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা ও তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত আমাদের অবস্থান কয়েকটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর আমাদের চলাচল সীমিত করে দিয়েছে, অথচ হামলাকারীরা স্বাধীনভাবে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি তাদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ, যা অত্যন্ত হাস্যকর এবং শিক্ষার্থীদের রক্তের সাথে তামাশা করার সমান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হল ভ্যাকান্ট করতে পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয় এবং ১৫ দিন পর ইন্টারনেট বন্ধের প্রহসনমূলক নোটিশ দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে অপরাধীদের বিচারের জন্য মুক্ত করে দেওয়া স্বৈরাচারী প্রশাসনের কালো থাবায় কুয়েট ক্যাম্পাস আমাদের জন্য এখন নিরাপদ নয়। আমাদের ওপর আরেকটি হামলা হতে পারে, এবং আমাদের রক্ত আর ঝরুক—এমন নিশ্চয়তা আমরা পাচ্ছি না। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta