আয়না ঘরে চেয়ারে বসিয়ে প্রতি মিনিটে ১২০ বার ঘুরাতো, নখ তুলে লবণ ছিটাতো
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আয়না ঘরের মধ্যে আমি একটি যুবদল নেতাকে পেয়েছিলাম, যিনি বিএনপির সদস্য ছিলেন। তাকে একটি হাতাওয়ালা চেয়ারে বসিয়ে হাত-পা বেঁধে প্রতি মিনিটে ১২০ বার ঘুরানো হয়েছিল। বিশেষ ধরনের মেশিন দিয়ে তার নখ তুলে লবণ ছিটানো হয়েছিল।
এটি গতকাল কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রবাসী মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়ার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে কুষ্টিয়ার ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, তখন আমি ঐ যুবদল নেতার সঙ্গে আয়না ঘরে বন্দি ছিলাম। একটা মিথ্যা মামলায় আমাকে জামিন ছাড়া তিন বছর আটকে রাখা হয়েছিল। বিএনপি এখন নিপীড়িত দল। তারেক রহমানের পিএস মিয়া নুরুদ্দিন অপু আমার সাথে তিন বছর ছিল আয়না ঘরে। তারেক রহমানের পিএস গিয়াসউদ্দিন মামুনের সঙ্গে আয়না ঘরে লুডু খেলতাম।
আমাদের ওপর ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার নজরদারি ছিল এবং তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল যাতে আমাদের দুজনের সঙ্গে কেউ কথা বলতে না পারে। শুধু তারেক জিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল, আর আমার সঙ্গে ছিল মামুনুল হক। এই কারণে আমার ওপর এত কড়াকড়ি করা হয়েছিল। এই দৃশ্যগুলো আজও আমার মনে ভয় জাগায়, অথচ আমি এসব কাটিয়ে এসেছি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিএইচডি গবেষক মিছবাহ উদ্দিন, প্রধান আকর্ষণ ছিলেন নাগাইশ দরবারের শরীফের পীর হ. মা. মোশতাক ফয়েজী। দ্বিতীয় বক্তা ছিলেন হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, তৃতীয় বক্তা ছিলেন মাওলানা হোসাইন আহমাদ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মো. রমজান আলী। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রবাসী মুসলিম কমিউনিটির গোলাম কবির, আল ইমরান, মনির হোসেন পাটোয়ারী, কে এ সবুজ, আবুল বাসার, রফিকুল ইসলাম, আবু সাইদ, মফিজ উদ্দিন, মো. ইমন, আবু হানিফ, মো. রবিউল, জাহাঙ্গীর আলম, ও মো. ওয়াসিম সহ আরও অনেকে।
বিআরইউ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta