‘আওয়ামী লীগ ১১ মিনিটে গণতন্ত্রের শেষ চুম্বন দিয়েছিল’
বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে আওয়ামী লীগ কখনোই সফল হয়নি, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঈন খান আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়াই আওয়ামী লীগের স্বভাব। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তারা পালিয়ে গিয়েছিল। গত ১৬ বছরে জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে না পেরে আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংসদের মধ্যে মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে গণতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটিয়ে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন উচ্ছিন্ন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন।
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি শাহীন রেজা এবং সঞ্চালনা করেন কবি ড. শহিদ আজাদ। উদ্বোধন করেন কবি আল মুজাহিদি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সমালোচনা করে ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, এদেশে প্রায় ৫০টি উপজাতি রয়েছে, তাহলে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে এককভাবে দেশের পরিচয় হিসেবে তুলে ধরা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার সমাধান অত্যন্ত সুন্দরভাবে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ একটি পুষ্পমালার মতো, যেখানে বাঙালি একটি ফুল হলেও, অন্যান্য উপজাতির ফুলগুলিও এই পুষ্পমালায় সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত। তাই তার দেওয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।
জাতীয়তাবাদ নিয়ে আলোচনা করার সময় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, যতদিন আমরা নিজেদের পরিচয়ে গর্বিত না হতে পারব, ততদিন আমাদের সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে থাকবে। বাংলা ভাষা এবং বাঙালি মুসলমানের সম্পর্কের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। আমরা জানি বাংলা ভাষা মধুর হলেও এটি যখন তেজোদ্দীপ্ত হয়, তখন তার অমোঘ শক্তি অনুভব করা যায়। এর প্রবর্তক ছিলেন জিয়াউর রহমান।
এ সময় অতিথিরা ‘চেতনায় জাতীয়তাবাদ’ নামক বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta