চাঁদপুরে ৪০ জন সাঁতারুকে ইয়েস কার্ড প্রদান করা হয়েছে

‘সেরা সাঁতারুর সন্ধানে বাংলাদেশ-২০২৫’ প্রতিযোগিতার চাঁদপুর পর্বে ৪০ জন সাঁতারু ইয়েস কার্ড অর্জন করেছেন। শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ১১টায় চাঁদপুর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কে ‘অঙ্গীকার’ সংলগ্ন লেকে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ছয় জেলার ১৭০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা দুপুর ২টার মধ্যে শেষ হয়।

ইয়েস কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর একটি নদীবেষ্টিত জেলা, এখানে প্রতিটি গ্রামে এমন তরুণ-তরুণী রয়েছে যারা ছোটবেলা থেকে পানির সাথে পরিচিত। তাই তারা স্বাভাবিকভাবেই সাঁতারে পারদর্শী। আমাদের উদ্দেশ্য এই প্রতিভাগুলোকে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলা।’

তিনি আরও জানান, ‘সাঁতার শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, এটি জীবন রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা, বিশেষ করে নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য। এই প্রতিযোগিতা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফাহিম আহমেদ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহিন। তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। বাছাইকৃত সাঁতারুদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের সেরা সাঁতারু তৈরি করা।’

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছাড়াও প্রবীণ ও নবীন সাঁতারু এবং স্থানীয় দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, ‘সেরা সাঁতারুর সন্ধানে বাংলাদেশ-২০২৫’ প্রতিযোগিতায় মোট অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৯ থেকে ১১ বছর বয়সী বালক ছিলেন ৩০ জন এবং বালিকা ৬ জন। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী বালক ১০৯ জন এবং বালিকা ২৩ জন অংশগ্রহণ করেন।

ইয়েস কার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৯–১১ বছর বয়সী বালক ৪ জন এবং বালিকা ৩ জন, অন্যদিকে ১২–১৫ বছর বয়সী বালক ২০ জন ও বালিকা ১৩ জন ইয়েস কার্ড পেয়েছেন। মোট ইয়েস কার্ডপ্রাপ্ত সাঁতারু ৪০ জন, যেখানে বালক ২৪ এবং বালিকা ১৬ জন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় ও বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের আয়োজনের প্রথম পর্বের শেষ পর্বটি চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হয়।