প্রশাসনের অবহেলায় সমাজে দুষ্কৃতকারীরা উৎসাহ পাচ্ছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমানে আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং তারা তা মেনে নিতে পারছে না। শাসনকালে জনগণের আশা ছিল যে, তৃণমূল পর্যায়ে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে, তবে প্রশাসনের শ্লথ মনোভাব ও ঢিলেঢালা কার্যক্রমের কারণে সমাজে অপরাধীরা বেড়ে উঠছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ১৬ বছর ধরে সরকারের অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্বৃত্তদের কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাজে অপরাধের আধিক্য বেড়েছে। শেখ হাসিনার শাসনে সমাজে হত্যাকাণ্ড, গুম, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন এবং বিরোধীদের প্রতি নৃশংস আচরণ অনেকটাই সাধারণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা এবং শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে এখনও নারী-শিশু নির্যাতনকারীরা সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছে। সম্প্রতি মাগুরায় আছিয়া নামের ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর মৃত্যুবরণ করেছে, যা দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি গভীর দুঃখের বিষয়। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা জাতিকে ব্যথিত করেছে। আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ শাসনে মানবিকতা, নৈতিকতা এবং ন্যায়বিচার হারিয়ে গেছে।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, জনগণের চাহিদা ন্যায়বিচার, কিন্তু সেটি যদি না পাওয়া যায় তবে সরকার ও প্রশাসনের গ্রহণযোগ্যতা সংকটের মুখে পড়বে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে শক্তিশালী কাঠামো গঠন জরুরি, এবং প্রশাসন যদি দক্ষ, সৎ, ন্যায়পরায়ণ না হয়, তবে সমাজে অপরাধ এবং নির্যাতন বেড়ে যাবে। এজন্য অবিলম্বে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা দরকার এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও দাবি করেন যে, আছিয়ার হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি প্রদান করা হোক।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন দেশব্যাপী নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার তথ্য সংগ্রহ করছে এবং ‘নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনি এবং স্বাস্থ্য সহায়তা সেল’ গঠন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।
আরএস
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta