রোজার খাদ্য অভ্যাস
রমজান মাসে খাদ্য নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে হৃদরোগীদের জন্য। অনেকেই জানতে চান, ইফতারে ছোলা, বেগুনি, পিঁয়াজু, বড়া, পাকুরা, জিলাপি ইত্যাদি খাওয়া নিরাপদ কিনা। এসব খাবার আমাদের বাঙালি মুসলিম সমাজে একটি বিশেষ স্থান রাখে, তবে হৃদরোগীদের জন্য এগুলো কিছুটা ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে একেবারে নিষিদ্ধ করাও সমীচীন নয়, বরং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া উচিত। তেলে ভাজা খাবার কম খেতে হবে, তরমুজ, খিরা, শশা, টম্যাটো, আপেল, কমলা, নাশপাতি, পেয়ারা, বড়ই, আমড়া, বেল, লিচু ও কাঁঠাল এসব ফল কম পরিমাণে খাওয়া উত্তম।
রমজানে অনেক জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে দই, মিষ্টি, পায়েস, ফিরনি, সেমাই, নুডলস, তেহারি, বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি, কোরমা, রেজালা, রোস্ট, পোলাও ইত্যাদি। তবে এসব খাবার একসাথে না খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত, কারণ বেশি খেলে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। একবারে সব খাবার বর্জন করা সম্ভব নয়, কিন্তু একদিনে বেশি খাবারের বদলে এক বা দুটি আইটেম খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ইফতারে ছোলা ও পিঁয়াজু খেলে অন্য আইটেম যেমন বেগুনি, বড়া, জিলাপি, পাকুরা না খাওয়াই ভাল।
রোজায় খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। গ্রামবাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে যে, আপনি যে পরিমাণ হজম করতে পারবেন, ততটুকু খাবেন, তার বেশি নয়। এটাই বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে সঠিক, আপনার প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়। বিশেষ করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য এই নিয়ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-ডা. এম শমশের আলী, চিফ কনসালট্যান্ট, শমশের হার্ট কেয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta