প্রাকৃতিক উপায়ে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ৬টি খাবার
শক্তি বজায় রাখা অনেক সময় কঠিন হতে পারে, কারণ আমরা যেসব খাবার গ্রহণ করি, সেগুলোর মাধ্যমেই শরীর শক্তি ও পুষ্টি পায়। কিন্তু ভুল খাদ্য নির্বাচন অনেক সময় শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করে, যার কারণে শক্তির অভাব হয়। তবে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।
এগুলি জানুন-
১. চিয়া বীজ
ছোট হলেও শক্তিশালী, চিয়া বীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিনে পরিপূর্ণ। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং টেকসই শক্তি সরবরাহ করে। চিয়া বীজ তরল শোষণ করে জেলি তৈরি করে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে হাইড্রেটেড এবং পূর্ণ রাখে। শক্তি বাড়ানোর জন্য এটি স্মুদি, দই বা রাতের ওটসে ব্যবহার করতে পারেন।
২. কুইনোয়া
কুইনোয়াকে ‘সুপার গ্রেইন’ বলা হয়। এটি একটি বীজ এবং প্রোটিনের পূর্ণ উৎস। এতে নয়টি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। কুইনোয়ার জটিল কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে শক্তি প্রদান করে, যা একটি ভালো নাস্তা হতে পারে।
৩. মিষ্টি আলু
জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু শক্তির এক ভালো উৎস। এতে ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা পেশী এবং সার্বিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ভাজা, সেদ্ধ বা এমনকি পুড়িয়ে খাওয়া যায়।
৪. কলা
প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কলা প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার এবং পটাসিয়ামে ভরপুর। এই পুষ্টির মিশ্রণ তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। দুপুরে যখন অলস লাগে, তখন একটি কলা খেয়ে শক্তি ফিরে পেতে পারেন।
৫. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবারে পূর্ণ, যা দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে। এতে বি ভিটামিনও রয়েছে, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন, হোল গ্রেইন টোস্টে অ্যাভোকাডো মাখিয়ে বা সালাদে মেশানো।
৬. ডার্ক চকোলেট
উচ্চমানের ডার্ক চকোলেটে (৭০% কোকো বা তার বেশি) থিওব্রোমিন থাকে, যা একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক এবং শক্তির পরিমাণ বাড়ায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অল্প পরিমাণে ক্যাফেইনও সরবরাহ করে। আপনার ব্যাগে একটি ডার্ক চকোলেটের বার রাখুন এবং দুপুরে উপভোগ করুন।
সালাউদ্দিন/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta