রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
রমজান মাসে রোজা রাখার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বের পাশাপাশি এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। রোজা রাখার মাধ্যমে শরীরকে খাবারের প্রভাব থেকে বিরতি দেওয়া হয়, যা আমাদের সুস্থ রাখার পেছনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই পবিত্র মাসে রোজা রাখা শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় ক্ষেত্রেই অর্জন লাভের সুযোগ দেয়।
চলুন রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানি-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
রোজা রাখার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে এই প্রক্রিয়া শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়ক হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, যা ক্ষতিকারক উপাদান পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।
২. ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ানো
রোজা রাখার ফলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। রোজার সময় শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়, ফলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৩. ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য রোজা একটি কার্যকরী উপায়। সাহরি ও ইফতারের সময় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে এবং ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করে, রমজান মাসে ওজন কমানো সম্ভব। তবে বছরের অন্য সময়েও অতিরিক্ত খাওয়ার থেকে বিরত থাকা উচিত।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
রোজা রাখলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর সম্ভাবনা থাকে। এটি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক, যা প্রদাহ কমিয়ে রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে। তবে যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ রয়েছে, তাদের রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি
রোজা রাখার অন্যতম উপকারিতা হল মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি। রমজান মাসে মস্তিষ্কে নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর (BDNF) উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। BDNF হলো একটি প্রোটিন যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য সহায়ক, এবং এটি স্মৃতি, শেখা ও মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত করে।
সালাউদ্দিন/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta