ফোনে অতিরিক্ত সময় কাটাচ্ছেন? জেনে নিন অভ্যাস ছাড়ার উপায়
আপনি কি প্রয়োজন ছাড়াই ফোনে স্ক্রোল করছেন, সব নোটিফিকেশন চেক করে যাচ্ছেন? আপনি কি স্ক্রিনের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছেন, ডিজিটাল জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারছেন না?
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটার অত্যন্ত কার্যকর উপকরণ হতে পারে। কিন্তু এগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার কাজ, শিক্ষা, এবং সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যদি আপনি বাস্তব জীবনে মানুষের সাথে কথা বলার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বা গেমিংয়ে বেশি সময় কাটান, অথবা মেসেজ বা অ্যাপ চেক করা বন্ধ করতে না পারেন, এমনকি যখন তা আপনার জীবনে ক্ষতি করছে, তখন সময় এসেছে প্রযুক্তি ব্যবহারের নতুন পন্থা নিয়ে ভাবার।
এই ধরনের অভ্যাসকে সাধারণত ফোন আসক্তি বা নোমোফোবিয়া বলা হয়। ফোন আসক্তি আজকের সংযুক্তির যুগে একটি সাধারণ সমস্যা, যা ব্যক্তিগত উৎপাদনশীলতা এবং স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
কিছু সহজ পরিবর্তন করে আপনি আপনার প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বদলাতে এবং জীবনকে নতুন করে প্রাণবন্ত করতে পারেন। কীভাবে করবেন, জেনে নিন-
১. ফোন থেকে একদিনের বিরতি নিন
প্রতিটি সপ্তাহে একদিন ফোন ছাড়াই কাটালে অবিরত স্ক্রোলিংয়ের চক্র বন্ধ হবে। এতে আপনি অফলাইনে আরও বেশি সময় কাটাতে পারবেন এবং প্রকৃত যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হবেন। প্রযুক্তির কম ব্যবহারে মানসিক চাপ কমবে এবং জীবনের মান বৃদ্ধি পাবে।
২. শোবার ঘরে ফোন চার্জ করবেন না
যদি শোবার ঘরে ফোন চার্জ করেন, তাহলে গভীর রাতে তা ব্যবহার করার প্রবণতা বাড়ে, যা আপনার ঘুমের গুণগত মানকে প্রভাবিত করে। ফোনটি অন্য কোথাও চার্জ দিয়ে ঘুমানোর সময়কে শান্তিপূর্ণ এবং ডিজিটাল দিক থেকে মুক্ত করতে পারেন। এই পরিবর্তনটি ভালো ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে।
৩. ৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ
মোবাইল ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা নিয়ে ৩০ দিনের পরীক্ষা দীর্ঘমেয়াদী রুটিন পরিবর্তন করার পথ খুলতে পারে। সচেতনভাবে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে এবং অন্য কিছু করার উপায় খুঁজে পেয়ে আপনি আপনার উৎপাদনশীলতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারবেন।
৪. অ্যাপস কমিয়ে দিন
ঘন ঘন নোটিফিকেশন মনোযোগ নষ্ট করতে পারে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। অপ্রয়োজনীয় অ্যালার্ট বন্ধ করে বা ‘ডোন্ট ডিস্টার্ব’ মোড চালু করে আপনি এসব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ডিভাইসের ওপর এই নিয়ন্ত্রণ মানসিক চাপ কমাবে এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার সম্ভব করবে।
মুনতাসির/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta