দেশে জিকা ভাইরাসের প্রথম ‘ক্লাস্টার’ চিহ্নিত, ৫ জন আক্রান্ত
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসটি পেয়েছে পাঁচজন ব্যক্তি, যাদের মধ্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) নিশ্চিত করেছে।
সোমবার, সংস্থাটি তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেছে।
আইসিডিডিআর,বির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করার পর তারা এই তথ্য পেয়েছেন। তারা আরও বলেন, বিজ্ঞানীরা সমগ্র জিনোম সিকোয়েন্সিং ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ ব্যবহার করে নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশি এই ভাইরাস স্ট্রেইন এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্ভুক্ত। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাইক্রোসেফালি ও অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে।
আইসিডিডিআর,বি তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, বাংলাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু, উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার প্রজননের জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে, যার ফলে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ এখানে প্রভাব ফেলেছে, এবং এখন জিকা ভাইরাসও শনাক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো জিকা ভাইরাসও এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এর লক্ষণ ডেঙ্গুর মতো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা শনাক্ত হয় না। এই ভাইরাস শরীরে দীর্ঘ সময় থাকতে পারে এবং যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও এটি ছড়ায়। গর্ভবতী হলে জিকা ভাইরাসের কারণে শিশু জন্মে শারীরিক ত্রুটি।
১৯৪৭ সালে প্রথম উগান্ডায় বানরের মধ্যে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় এবং ১৯৫২ সালে প্রথম মানবদেহে পাওয়া যায়। এরপর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta