সাজেকে হোটেলের রুম না পেয়ে বারান্দা ও ক্লাবঘরে রাত্রিযাপন পর্যটকরা।
রাঙামাটির সাজেকে ব্যাপক পর্যটক সমাগম ঘটেছে। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা সাজেকে আসছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে পথের ক্লান্তি দূর হলেও, থাকা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আগেই বুকিং না করায় অনেক পর্যটক হোটেলের রুম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।
পর্যটকরা জানান, কেউ নিজেদের মতো পাহাড়ের ওপর ঘাসে তাবু ফেলেছেন, আবার কেউ হোটেল বা মোটেলের বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন।
সূত্রে জানা গেছে, সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এখানে পর্যটকদের জন্য ভ্যালি স্পট তৈরি করা হয়েছে, যার নাম সাজেক ভ্যালি। সাজেক রাঙ্গামাটি জেলা ও ভারতের মিজোরামের সীমান্তে অবস্থিত। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি জনগণের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা রয়েছে। সমুদ্রতল থেকে উচ্চতায় মেঘ এখানে স্থায়ী বসতি গঠন করে। শীতকালীন সময়ে পর্যটকরা এখানকার সৌন্দর্য দেখতে আসেন।
সাজেক হোটেল ও কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মন জানান, গত শুক্রবার থেকে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাজেকে মোট ১১৫টি হোটেল ও কটেজ রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা প্রায় ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার। যারা আগে থেকে বুকিং করেছেন, তাদের থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে, তবে যারা বুকিং দেননি, তাদের অনেককেই ফিরে যেতে হয়েছে। দুই শতাধিক পর্যটককে রাত কাটাতে হয়েছে হোটেলের বারান্দা, ক্লাবঘর এবং স্থানীয় বাড়িতে।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা ও বিকেল সাড়ে তিনটায় চার শতাধিক জিপ ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে পর্যটকরা সাজেক আসেন। এছাড়া, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে প্রায় ৫০০ পর্যটক আসেন। এসব যানবাহনে মোট পর্যটক ছিলেন প্রায় ৬ হাজার। তবে আমাদের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে ধারণক্ষমতা ছিল প্রায় ৫ হাজার, ফলে কিছু পর্যটক হোটেল-রিসোর্টের বারান্দা, ক্লাবঘর ও স্থানীয় বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, অতিরিক্ত পর্যটকের হোটেলের বারান্দায় থাকার বিষয়ে আমি জানি না। আমার কাছে তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত পর্যটকরা সাজেকে ছিলেন না, যারা বুকিং দিয়েছিলেন তাদের চেয়ে সামান্য কিছু বেশি ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta