জনসমাগম কক্সবাজারে, সৈকতজুড়ে উৎসবের পরিবেশ
কক্সবাজার সৈকতজুড়ে বর্তমানে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে। সাপ্তাহিক ছুটিতে পুরো শহরই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল ও মোটেলের কোনো কক্ষ খালি নেই।
সৈকত ছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, দরিয়ানগর পর্যটন পল্লি, হিমছড়ির ঝরনা, ইনানী-পাটুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, ঐতিহাসিক প্রেমের নিদর্শন মাথিন কূপ, নেচার পার্ক, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক সহ নানা বিনোদনকেন্দ্র এখন পর্যটকদের ভিড়ে পূর্ণ। অনেকেই রুম না পেয়ে কক্সবাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অভিযোগ উঠেছে, যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এবং শনিবার সকালে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বালিয়াড়িতে লাখো পর্যটক জমায়েত হয়েছেন। সৈকতের নীল জলরাশিতেও ছিল মানুষের সমাগম। সবাই আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানিয়েছেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটক উপস্থিত রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে।
বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসা ছোট্ট আদিব (৯) জানায়, এই প্রথম সে সাগর দেখেছে। কক্সবাজারে এসে সাগরের পানিতে খেলে ও বালিয়াড়িতে মজা পেয়ে খুব আনন্দিত সে।
শহরের বার্মিজ সামগ্রীর দোকানি তৈয়ব জানান, ‘কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনে এটি আরও বৃদ্ধি পায়। পর্যটকরা আমাদের দোকানে এসে বার্মিজ পণ্য ও আচার কিনছেন, যা আমাদের ব্যবসার জন্য খুবই লাভজনক।’
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও সেন্টমার্টিন দ্বীপ, ইনানী সৈকত, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, মহেশখালী এবং রামু বৌদ্ধ বিহারেও এখন পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta