সেন্টমার্টিনে ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’ জেটিতে বিপদে পর্যটকরা
সেন্টমার্টিনের জরাজীর্ণ জেটি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছেন পর্যটকরা। এই ভাঙাচোরা জেটি দ্বীপের ১০ হাজার মানুষের চলাচল ও মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ জেটিতে চলাচল করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।
এই জেটি দ্বীপে প্রবেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হলেও, এর বেহাল দশার কারণে যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ার পর, ২০২৩ সালে জেটি মেরামত করা হয়, তবে বছর না ঘুরতেই আবারও তা খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে মহিলারা ও শিশুরা জেটি দিয়ে চলাচলে চরম সমস্যায় পড়েন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উচ্চমাত্রার জোয়ারের ঢেউ বা জাহাজের ধাক্কায় যেকোনো সময় জেটিটি ভেঙে যেতে পারে।
জেটির কিছু অংশে রেলিং ভেঙে গেছে, পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে, আর নিচের অংশে রড বেরিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে সেন্টমার্টিনে জাহাজ ভিড়ালে নামার সময় পর্যটকদের বিপত্তি হয়।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বলেন, "এই জেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু স্থানে রেলিং নেই, কোথাও কাঠের পাটাতন বসানো হলেও তা নষ্ট হয়ে গেছে। জেটির ঢালাই অনেক আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।" তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, "এই ভাঙাচোরা জেটি নিয়ে আমরা খুব সমস্যায় আছি। পর্যটকরা এখানে এসে খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। জেলা পরিষদকে আমরা বারবার তাগাদা দিয়েছি, তবে জেটি মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে বলে শুনেছি।"
কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, "জেটি মেরামতের জন্য বাজেট পাস হয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং শিগগিরই কাজ শুরু হবে।"
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান উদ্দিন বলেন, "জেটি মেরামতের জন্য জেলা পরিষদ টেন্ডার আহ্বান করেছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।"
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta