এআইয়ের প্রভাবে মাইক্রোসফটে চাকরি হারাচ্ছেন ৯ হাজার কর্মী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে যে, তারা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। এটি তাদের মোট কর্মীসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে আনুমানিক ২ লাখ ২৮ হাজার কর্মীর মধ্যে থেকে করা হচ্ছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, এআই প্রযুক্তির আরও কার্যকর ব্যবহার এবং তাদের সংগঠনকে খরচ কমাতে অভিযোজন করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, 'বাজার পরিস্থিতি বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ব্যবসা ও টিমগুলোকেও নতুন করে সাজানোর প্রয়োজন।'
এটি ২০২৩ সালের মে মাসে প্রায় ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার পরবর্তী পদক্ষেপ, যেখানে মূল লক্ষ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে ব্যবস্থাপনা স্তর কমানো এবং এআই প্রযুক্তি পণ্যে সংযুক্তি বাড়ানো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির বিকাশের পর থেকে মাইক্রোসফট এই খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। ওপেনএআই-এর সঙ্গে তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে উইন্ডোজ, অফিস, বিংসহ বিভিন্ন পণ্যে এআই সংযোজন করা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির খরচ বৃদ্ধি করেছে।
এই খরচ মোকাবেলা এবং ভবিষ্যতের সাস্টেনেবল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানিটি কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জন্য সেভারেন্স প্যাকেজ, স্বাস্থ্য বীমা এবং পুনঃকর্মসংস্থানের সহায়তা প্রদান করা হবে।
বিশ্ব প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বলে মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তকে দেখছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, গুগল, মেটা, অ্যামাজনসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও এআই এবং অটোমেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগোচ্ছে।
মাইক্রোসফট জানায়, তারা এমন একটি কর্মপরিবেশ গড়তে চায় যেখানে কর্মীরা এআইয়ের সহায়তায় আরও সৃজনশীল ও কার্যকর কাজ করতে পারবেন। তাদের ভাষায়, 'আমরা সবসময় কৌশলগত লক্ষ্য পূরণের জন্য কর্মী ব্যবস্থা পরিবর্তন করেছি, এমনকি সুসময়ে হলেও।'
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta