নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য এনসিপির কমিটি গঠন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসরে এনসিপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলটি ‘শৃঙ্খলা ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে। আগামী ২০ এপ্রিল এই কমিটি ঘোষণা করা হবে।

শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে অনুষ্ঠিত দলের তৃতীয় সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক খায়রুল কবিরের মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের মধ্য দিয়ে সভাটি বিকেল তিনটায় শুরু হয়ে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনসিপির অঞ্চলভিত্তিক সাংগঠনিক নীতিমালা প্রণয়ন, সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি, আওয়ামী লীগের গণহত্যা বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি গ্রহণ, সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পলিসি গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতা এবং ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনস্বার্থে সরকারের প্রতি দাবি জানানো ছিল সভার আলোচ্য বিষয়।

সভায় সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রস্তাব করেন মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

নীতিমালায় সাংগঠনিক কাজের স্বার্থে ৬৪টি জেলাকে ১৯টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। কমিটি গঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩১ থেকে ৫১ জন এবং উপজেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ২১ থেকে ৪১ জন হতে হবে। উভয় কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার জন্য বয়স সর্বনিম্ন ৪০ বছর হতে হবে।

এ ছাড়া, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসরে এনসিপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি ‘শৃঙ্খলা ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০ এপ্রিল এই কমিটি ঘোষণা করা হবে।

চলতি সপ্তাহে বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি ঢাকা মহানগর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।