গুরুদাসপুরে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা

নাটোরের গুরুদাসপুরে মসজিদের হিসাব চাওয়ার জেরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছে বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠন। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে রানীগ্রাম বড় মসজিদ মোড় থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি মসজিদের সামনে এক পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

মশিন্দা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও পথসভায় বক্তব্য দেন ছাত্রদল নেতা শাকিল হোসেন, রাকিব হোসেন, তাহসিন রহমান মিহাল, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সুজাউদ্দৌলা সুজন, মশিন্দা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক পারভেজ পলাশ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাঙা মোল্লা, আহ্বায়ক শামীম আহম্মেদ, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মান্নান মাস্টার ও সবুজ বিশ্বাস লালন।

এ সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী আব্দুল হাকিম (৩৮), আনসার প্রামাণিক (৬৫), রফিকুল প্রামাণিক (৫০) আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আব্দুল হাকিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আব্দুল হাকিমের ভাই রফিকুল ইসলাম গুরুদাসপুর থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিক্ষোভ মিছিল এবং পথসভা থেকে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়।

এ ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার, মশিন্দা ইউনিয়নের রানীগ্রাম মধ্যপাড়া মসজিদে জুমার নামাজের পর মসজিদ কমিটির বৈঠকে মসজিদের হিসাব চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যুবলীগ নেতা লাবলু ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিমের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে এটি আ’লীগ ও বিএনপির মধ্যে দলীয় সংঘর্ষে রূপ নেয়।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ কর্মী বাবুল প্রামাণিক (৫০), সুজন আহমেদ (৩০), তারিকুল ইসলাম (২৫), হারেজ আলী (৪০) আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছে। মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।