হাসপাতালে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জন গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলজার হোসেনকে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন প্রিন্সসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার উপরিদর্শক (এসআই) মিলন মিয়া মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর ১৭।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন প্রিন্স, ভাদার্ত্তী এলাকার রিপন মিয়া (২৭), মুনসেফপুর এলাকার তরিকুল ইসলাম (১৯), বালিগাঁও এলাকার আরাফাত রহমান রিয়ান (১৯), চয়ন মিয়া (১৮), এবং সিয়াম হোসেন (১৮)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন রোববার (১৬ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন জানান, গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদের ইমাম সুদের বিষয়ে বয়ান করেন। এরপর নামাজ শেষে মো. জাহঙ্গীর আলম খোকন ইমামকে গালিগালাজ করেন। বিষয়টি জানতে চাওয়ায় খোকন ও তার সঙ্গীরা তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তারা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওনের বাড়িতে সমাধান চাইতে যাওয়ার পথে খোকন ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে তাদের মারধর করা হয়।
জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওন জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষই আহত হয়েছে এবং তারা স্থানীয়ভাবে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম প্রধান বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ছাত্রদল নেতা হাসপাতালে তার বন্ধুর বাবাকে দেখতে গিয়েছিল, তবে সংঘর্ষে তার কোনো involvement পাওয়া যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সত্যতা নিশ্চিত করা হবে।
ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মো. জাহঙ্গীর আলম খোকন সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ ছিল।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
শাকিল/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta