বরগুনায় ধর্ষণ মামলার পর বাবা হত্যার অভিযোগ, ভুক্তভোগী পরিবারকে তারেক রহমানের ফোন
বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার পর নিহত পিতা মন্টু চন্দ্র দাসের শোকগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে সমবেদনা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৫টায় বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি এলাকায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের মোবাইলে ফোন করে নিহত মন্টু চন্দ্র দাসের স্ত্রী শিখা রানী দাসের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনার গর্বিত সন্তান আমান উল্লাহ আমান এখানে আছেন। যেকোনো প্রয়োজনে তিনি আপনার পাশে আছেন। এসময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের জন্য খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় বস্ত্র প্রদান করা হয়।
এই বিষয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান জানান, বরগুনার এই ঘটনাটি হওয়ায় তারেক রহমান তাঁকে ফোন করে ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজখবর নিতে বলেন এবং সর্বাত্মক সাহায্য প্রদানের নির্দেশনা দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে বাংলাদেশ জিয়া শিশু অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীর, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন, জেলা বিএনপি নেতা এ জেডএম সালেহ ফারুক, অ্যাড নূরুল আমিন (পিপি), হুমায়ুন হাসান শাহিন, অ্যাড. রেজবুল কবীর, অ্যাড. রনজু আরা শিপু (পিপি) এবং তালিমুল ইসলাম পলাশসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ রাতের দিকে বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ৫ মার্চ তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী শ্রিরাম রায়ের ছেলে শ্রিজিত চন্দ্র রায়কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন মন্টু চন্দ্র দাস। ওই দিনই শ্রিজিত চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ৬ দিন আগে ধর্ষণ মামলার আসামি শ্রিজিত চন্দ্র রায় কারাগারে যায়।
এদিকে, মন্টু চন্দ্র দাসের প্রথম কন্যা সপ্তম শ্রেণির, দ্বিতীয় কন্যা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং সর্বকনিষ্ঠ কন্যার বয়স মাত্র ১ মাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে তার স্ত্রী শিখা রাণী দাস এখন তিন কন্যাকে নিয়ে অসহায় অবস্থায়। ঘটনার পর বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম এবং পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম খলিল মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এছাড়া জেলা বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দও পরিবারটির প্রতি সমবেদনা জানান।
শাকিল/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta