পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা আটক
ভোলার চরফ্যাশনে গণধর্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি ইসমাইল নামে এক তরুণকে পুলিশের ওপর হামলা করে তদন্ত কেন্দ্র থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি যুবদল নেতা মোক্তার ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে শনিবার দুপুরে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা নদীর তীরে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে ৫ যুবক। তাদের মধ্যে শরীফ তার ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এক বছর পর শরীফ ভিডিওটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ভিক্টিম বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঢালচর তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ধর্ষণ মামলার ৩ নম্বর আসামি ইসমাইল (২২) কে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢালচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহ আলম, সহ-সভাপতি মোক্তার ফরাজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফেরদাউস, জিয়া পরিষদের সভাপতি মামুনের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা বিক্ষোভ-মিছিল করে তদন্ত কেন্দ্রে ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ইসমাইলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পুলিশ হেফাজত থেকে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। এর পর, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পালাতক যুবদল নেতা মোক্তার ফরাজীকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভূইয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মোক্তার ফরাজীকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মুনতাসির/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta