কানাডায় পালানো রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে
বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তার এবং তার পরিবারের পাসপোর্ট বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মরক্কোতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি তার পদে বহাল থাকার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন। দেশে না ফিরে তিনি নানা অজুহাতে তার যাত্রা বিলম্বিত করেন এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে যান। ৬ মার্চ ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।’
আজ তার ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি ‘বাংলাদেশের জন্য এবং আমার নিজের জন্য একটি আবেদন বিষয় : ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশের অরাজকতার অবতরণ-বিশ্বের নীরবতা বেদনাদায়ক’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেন, যেখানে তিনি পূর্ববর্তী সরকারের প্রশংসা করার পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে তিনি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়। এ ধরনের পোস্ট লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয় বলে মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে ফিরে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে কানাডায় চলে গিয়ে সেখানে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করা এবং নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করা বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা বলে মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে।
সূত্র : বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta