নোয়াখালীতে বিধবাকে ধর্ষ
৮৪ বছরেও তিনি তরুণদের মতোই প্রাণবন্ত ও কর্মঠ। বয়সের ভার তাঁকে দুর্বল করেনি, বরং তিনি তারুণ্যের শক্তি ও সম্ভাবনাকে আঁকড়ে ধরেছেন। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের প্রতি তার ভালোবাসা আজও অটুট। সমাজের কল্যাণে তিনি সারাক্ষণ চিন্তা করেন। বর্তমান সময়েও তিনি বাংলাদেশের দায়িত্বে আছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস, শুধু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নয়, তিনি বিশ্বজুড়ে তরুণদের আইকন। তাঁর দর্শনের মূল বিষয় হলো তরুণদের শক্তি কাজে লাগানো। তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণদের চিন্তা, মেধা, সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবন বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে। যুদ্ধ, অশান্তি, জলবায়ুর পরিবর্তন ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে তরুণদের সুযোগ দেওয়া ও তাদের নীতিনির্ধারণে যুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. ইউনূস সারাজীবন তরুণদের জন্য কাজ করছেন। তাঁর প্রত্যেক পদক্ষেপ ও চিন্তা তরুণদের স্বপ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশ পরিচালনায় তরুণদের সামনে এনে তিনি বিশ্বের জন্য এক আদর্শ স্থাপন করেছেন। গত শতকে যখন বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছিল, তখন দেশের তরুণরা এক অভূতপূর্ব বিপ্লবের সূচনা করেছিল। তরুণদের এ আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেছিলেন। তিনি জানতেন, তরুণরা বাংলাদেশের ভাগ্য বদলে দিতে পারবে। এই আন্দোলন তরুণদের হাতে তৈরি হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ দেখায়।
তিনি এক সময় বলেছিলেন, তরুণদের মতামতকে সব সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তরুণদের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা থেকেই তিনি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠনে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি ও তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব দেখতে পায় তরুণদের শক্তি ও মেধা, যা ভবিষ্যতের জন্য এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সব সময় বলেছেন, ‘তরুণরাই পৃথিবীকে বদলে দেবে’।
ড. ইউনূস তাঁর কর্মজীবনে তরুণদের ওপর বিশেষভাবে নির্ভর করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণরা চাকরি খোঁজার পরিবর্তে চাকরি সৃষ্টি করবে। সামাজিক ব্যবসায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি এক নতুন পৃথিবী গড়তে কাজ করছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক ব্যবসা ল্যাবগুলো তরুণদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং তা বিশ্বব্যাপী সাফল্য পাচ্ছে।
ড. ইউনূস বিশ্বাস করেন যে, তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও কর্মশক্তিকে কাজে লাগানো সবচেয়ে ভালো পথ। তাঁর কর্মধারা এটাই প্রমাণ করে যে, তরুণরা যেকোনো বাধা অতিক্রম করে এক নতুন পৃথিবী গড়তে পারে। ১৯৭৪ সালে যখন তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, তখন থেকেই তরুণদের সক্ষমতায় বিশ্বাস রেখেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, তাঁর সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম তরুণদের নেতৃত্বে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বিশ্বে তরুণদের নিয়ে তাঁর কাজ অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে। সামাজিক ব্যবসা ও উদ্যোক্তা হওয়ার ধারণা দিয়ে তিনি তরুণদের জন্য এক নতুন পথ তৈরি করেছেন। তাঁর বিশ্বাস, তরুণরা যদি নিজেদের ক্ষমতা বুঝতে পারে এবং সঠিক সুযোগ পায়, তাহলে তারা বিশ্বের অর্থনীতি ও রাজনীতিকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে। তিনি আজ বিশ্বজুড়ে তরুণদের প্রেরণার উৎস।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta