পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়ার কাছে দুঃখিত, লজ্জিত
মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়াকে ক্ষমা চেয়ে লজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, আমাদের বোন আছিয়া আর বেঁচে নেই। আছিয়ার ধর্ষণের বিচারকাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্ষকদের শাস্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি হোক। বিচারহীনতা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দীর্ঘসূত্রতা দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংসের যে অবস্থায় নিয়ে গেছে, শিশু আছিয়াকে হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে সেই বিচারব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করা হোক।
তিনি আরও বলেন, পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত।
উল্লেখ্য, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা মাগুরার শিশুটি মারা গেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানায়।
পোস্টে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। তারা শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।
এর আগে, ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় তার বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকালে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়।
বিআরইউ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta