৭ মাস পর সহকারীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে কষ্ট পাচ্ছেন তানজিন তিশা
জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিনের মরদেহ ৭ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে শ্রীনগরের বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগরের কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তবে ৭ মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি তানজিন তিশা মোটেও সহ্য করতে পারছেন না। পুরো ঘটনায় শহীদ আল আমিনের জন্য তার মন ভেঙে গেছে।
এক ফেসবুক পোস্টে তিশা লিখেছেন, "আল আমিন শুধু সহকারী ছিল না, সে আমার ভাই ছিল। সে আমার সাথে পাঁচ বছর কাটিয়েছিল, নিষ্পাপ ছিল, এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। সাত মাস পর তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়টি আমি কোনোভাবেই সমর্থন করছি না।"
এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে অভিনেত্রী লিখেছেন, "এই কাজের ফলে কী লাভ হবে? শুধুমাত্র তার আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো ঘটনা জানার পর, আমার জন্য এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। এই কাজের পেছনে যারা রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা নিয়ে আমি অত্যন্ত হতবাক। ভাইয়া, তুই ভালো থাকিস।"
জানা গেছে, আল আমিন তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন এবং ঢাকায় বসবাস করতেন। জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে তার মৃত্যু হয় এবং ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর ১০ মার্চ ময়নাতদন্তের জন্য, তার বাবার সম্মতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
মরদেহ উত্তোলনকালে শ্রীনগর উপজেলার সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন মাহমুদ জানান, সাত মাস পর আল আমিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রার/সা.এ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta