ঈদ ইত্যাদিতে একসাথে হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানোকাঠী এলাকায় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি কৃষকের ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে মাছের ঘের তৈরি করছে। জমি দিতে না চাইলে ওই কৃষকদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে এই দখল ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলার ধানোকাঠী ইউনিয়নের বেতমোড়া বাজারের আশপাশে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য রবি শস্য চাষ করছেন। সম্প্রতি, জাকির খান, ফারুক খান, বালু করিমসহ তাদের সহযোগীরা প্রায় ১০ একর জমি দখল করে সেখানে মাছের ঘের তৈরি শুরু করেন। এক্সাভেটর দিয়ে জমির খনন শুরু করলে কৃষকরা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা তাদের মারধর ও হুমকি দেন।
এছাড়া একই পদ্ধতিতে উপজেলার আরও পাঁচটি এলাকায় কৃষি জমি দখল করে মাছের ঘের তৈরি করা হচ্ছে। বালাকান্দি, মোল্লাকান্দি, ধানোকাঠী বাজার, নতুন বাজার ও চর ধানোকাঠীসহ বিভিন্ন এলাকায় এই দখলের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
ভুক্তভোগী কৃষক আবুল কাশেম বলেন, "আমার এক কানি জমি ঘেরের প্রকল্পের মধ্যে পড়ে, যা আমি কষ্ট করে ধান চাষ করেছি। কিন্তু এখন জমি দখল করে মাটি কেটে নষ্ট করা হচ্ছে। আমি চাই আমার জমি আগের অবস্থায় ফিরে আসুক, মাছের ঘের এখানে হতে দিচ্ছি না।"
রফিক বেপারী বলেন, "আমাদের জমি জোর করে দখল করে মাছের ঘের তৈরি করা হচ্ছে। আমরা পুলিশ, ওসি, ডিসির কাছে গিয়েছি, কিন্তু আমাদের সাহায্য করা হয়নি। প্রশাসনই এই দখলকে প্রশ্রয় দিয়েছে। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই।"
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির খান ও বালু করিম বলেন, "আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কাজ করছি। ওসি ও এসিল্যান্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলুন।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, "বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফসলি জমি দখল ও কৃষকদের হয়রানি কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।"
ভুক্তভোগী কৃষকরা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং দখলকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ইএইচ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta