বৈষম্য বিরোধী এবং সমন্বয়করা মোকাবিলা করুন
কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থ নিজের নামে জমা রাখা
ছয়টি ব্যাংকে ৯৩৯ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট
আয়কর দফতরে গোপন রাখা সম্পদের হিসাব
তেজগাঁওয়ে ২৫০ কোটি ও বনানীতে ৩০০ কোটি টাকার ফ্ল্যাট
স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ১০০০ কোটি টাকা
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের উপার্জিত অবৈধ অর্থ তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে সংরক্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে রাজস্ব বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে।
১০ ফেব্রুয়ারি মো. আব্দুল হান্নান নামে এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ অভিযোগটি দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিএন্ডটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মো. মোখলেছুর রহমান ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কাজী নাবিলের অধীন জেমকন গ্রুপের কর্মকর্তা ছিলেন।
এসময় তিনি কাজী নাবিলের বিশ্বস্ততা অর্জন করার পর জেমকন গ্রুপের অজানা অর্থায়নে বিএন্ডটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া, কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি নিজের স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি গড়েছেন, যেগুলো আয়করের ক্ষেত্রে গোপন রাখা হয়েছে।
এছাড়া, ছয়টি ব্যাংকে ৯৩৯ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখেছেন, যা তিনি আয়কর দফতরে প্রদর্শন করেননি। এর মধ্যে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংকের ২২০ কোটি টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের ২১৬ কোটি টাকা, শাহজালাল ব্যাংকের ১৮৫ কোটি টাকা, ইউসিবি ব্যাংকের ৫৪ কোটি টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৬৪ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে।
এছাড়া, তার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তা ওয়েস্টান টাওয়ারে ছয়টি বাণিজ্যিক ফ্লোরের বাজার মূল্য আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা এবং কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ বনানীতে ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি বাণিজ্যিক ভবনের বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা।
এছাড়াও, তার নামে বসুন্ধরা আবাসিকের আই ব্লকে ১০ বিঘা জায়গা রয়েছে, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। ঢাকার পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদাহ এবং পঞ্চগড় জেলায় মোট ৩০৩ বিঘা জমি রয়েছে, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০০ কোটি টাকার বেশি। তার পরিবারও বনানী এবং গুলশানে একাধিক বাড়ির মালিক।
অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, মোখলেছুর রহমান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থের রক্ষক হিসেবে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ব্যাংকটির কার্যক্রমে অবৈধ হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি নিজের সিন্ডিকেটের সদস্যদের ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta