রাবিতে খাবারের মান ও দাম পরীক্ষা করতে সিওয়াইবি’র অভিযান, পাওয়া গেছে অনিয়ম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শেষ হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দোকানগুলোর খাবারের দাম ও মান যাচাই করতে কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা অভিযান পরিচালনা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করেছে।
অভিযানটি সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে টুকিটাকি চত্বর, একাডেমিক ভবনের আশপাশের দোকানগুলোতে সম্পূর্ণ তদারকি ও পর্যবেক্ষণ শেষে শেষ হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মুহা. বিলাল হুসাইন এবং পুলিশের একটি টিম।
দ্বিতীয় দিনের অভিযানে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, নির্ধারিত মূল্য তালিকা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত দামে চা ও খাবার বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ কেক, বিস্কুট ও রুটি বিক্রি, জুস তৈরির জন্য অপরিশোধিত ও অস্বাস্থ্যকর পানি ব্যবহার এবং পচা-বাসি খাবার বিক্রি করা।
এ সময়, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যগুলো সরিয়ে ফেলতে বলা হয় এবং তা পুনরায় বিক্রি না করার জন্য সতর্কতা দেওয়া হয়। পচা খাবার নষ্ট করে ফেলতে এবং জুস বিক্রেতাদের পানি পরিবর্তন করে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি এসব অনিয়ম পুনরায় ঘটে, তবে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিওয়াইবি রাবি শাখার সভাপতি মো. মুরাদ হোসেন বলেন, "আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য। প্রশাসনের সহযোগিতায় আজকের অভিযানে যে অনিয়মগুলো ধরা পড়েছে, তা নিয়ে আমরা সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছি এবং ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে দোকানদারদের অবগত করেছি। প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।"
তিনি আরও বলেন, "ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করা তার মৌলিক অধিকার, আর তা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমেই দরকার ভোক্তার সচেতনতা। সচেতনতা ছাড়া অনিয়ম বন্ধ হবে না।"
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta