ড্যাপ ও ইমারত বিধিমালা সংশোধন করলে এর দায়ভার গ্রহণ করবে সরকার
একটি বন্ধ ফ্ল্যাটকে ঘিরে সৃষ্টি হয় ব্যাপক কৌতূহল। গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আসে, ফ্ল্যাটের ভিতরে রয়েছে বিশাল পরিমাণ টাকা এবং সোনা। এ তথ্য পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম। ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই সবার চোখ ছানাবড়া। ফ্ল্যাটটি থেকে উদ্ধার করা হয় ৯৫ কেজি সোনা এবং ৯০ কোটি টাকা।
সোমবার (১৭ মার্চ) গুজরাটের পালতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা এবং টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে, বাসা থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ফ্ল্যাটটি তল্লাশি করতে এটিএস এবং ডিআরআইয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালানোর সময় সবাই চমকে ওঠে। ঘরের মেঝেতে একটি স্টিলের বাক্স খুলতেই বেরিয়ে আসে সোনার বার, যা রাবার দিয়ে বেঁধে রাখা ছিল।
স্টিলের বাক্সে সোনার বারগুলি সাজানো ছিল একাধিক স্তরে। বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের পর গোয়েন্দারা গুনতে শুরু করেন। পাশের আলমারিতে খুললে বেরিয়ে আসে টাকা ভর্তি বান্ডিল। টাকা গুনতে ব্যাংক থেকে মেশিন আনা হয়।
ভারতীয় পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা এটিএস এবং ডাইরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, গোপন খবর পাওয়ার পর তারা অভিযানে নামেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ফ্ল্যাটের মালিক মেঘ এবং তার বাবা মহেন্দ্র শাহ। তারা দুজনই পলাতক রয়েছে।
ভারতীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবারের অভিযানে ৯৫ কেজি সোনা, গয়না এবং ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাদের ধারণা, অভিযুক্তরা বড় কোনো পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া, গুজরাট পুলিশ নিয়মিতভাবে অবৈধ অর্থের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে থাকে। এর আগে ২০২০ সালে আহমেদাবাদের একটি গুদামঘর থেকে ১০০ কেজি সোনা এবং সুরাতের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল।
রার/সা.এ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta