‘মুসলমানের সন্তান হলে, এমনভাবে লেখা উচিত ছিল না’
আমতলী উপজেলার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশের প্রতিবাদে মাদরাসার শিক্ষকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবিএম আলাউদ্দিন মাতব্বর সাংবাদিকদের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে এই কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেড় শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, গত ২৮ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিলে আমতলীর কিছু দালাল চক্র উৎসবে মেতে ওঠে। তারা মাদ্রাসা জাতীয়করণের নামে প্রত্যেক মাদ্রাসা থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করতে শুরু করে। এই চক্রকে সহায়তা দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই টাকার বিনিময়ে আমতলীর ৭৬টি নাম-ছাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকা প্রস্তুত করেন, যা বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে আমতলী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের সংগঠনের সভাপতি এবিএম আলাউদ্দিন মাতব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা যুবদল ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. কবির উদ্দিন ফকির, শিক্ষক মাওলানা মো. আলামিন এবং শিক্ষক মো. নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “আমরা অনেক শিক্ষক, যারা ২৫-৩০ বছর ধরে বিনা বেতনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছি। সম্প্রতি সরকার এই মাদ্রাসাগুলোর এমপিওভুক্ত ঘোষণা করার পর, আমরা যখন কাজ শুরু করেছি, তখন কিছু কুচক্রী মহল বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আমাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করছে। রমজান মাসে রোজা রেখে আমাদের এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে।”
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আক্ষেপ করে বলেন, “মুসলমানের সন্তান হলে এইভাবে লেখা ঠিক হয়নি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
শাকিল/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta