ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন: বিভিন্ন দেশে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হকের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত নথি উদ্ধার করেছে। গোপন খবরের ভিত্তিতে তার এক আত্মীয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব নথি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত নথির মধ্যে কানাডার টরন্টো এবং জার্মানির বন শহরে অবস্থিত বাড়ির দলিল পাওয়া গেছে, যা বিলাসবহুল। দুদক কর্মকর্তাদের দাবি, উদ্ধারকৃত নথিতে কোটি কোটি টাকার সম্পদের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। শহীদুল হক এসব নথি স্থানান্তর করে গোপন করার চেষ্টা করেছিলেন।
শহীদুল হককে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কয়েকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বরে অভিযান চালায়। জানা গেছে, শহীদুল হক এসব গুরুত্বপূর্ণ নথি আত্মীয়ের বাসায় লুকিয়ে রেখেছিলেন, যাতে এসব নথি দুদক, এনবিআর ও গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে যায়। মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের সি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব দলিল উদ্ধার করা হয়। সেখানে শহীদুল হকের ছোট বোনের ননদ নীগার সুলতানার বাসা থেকে নথিগুলো পাওয়া যায়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুটি বস্তায় ৩৮ ধরনের ৪৮টি আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি যেমন সম্পত্তির দলিল, গোপন চুক্তিপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, এফডিআর, ব্যাংক হিসাব বিবরণী ইত্যাদি।
দুদক সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত নথিতে শহীদুল হকের বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত ও এফডিআরের তথ্য পাওয়া গেছে। ফারমার্স ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত রয়েছে। এর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে তার বিপুল সম্পদের দলিল পাওয়া গেছে। মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ এফডিআরও পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, দুটি বস্তায় আরো অনেক সম্পদের দলিল এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গুলশান, সদর, উত্তরা, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মদপুর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ফতুল্লায় দলিল রয়েছে।
এ কে এম শহীদুল হক ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। তিনি ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, রাজশাহী রেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta