নাহিদ ই슬াম
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এনসিপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাকটিভিস্ট, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আমাদের জন্য ঐক্য ও সংহতির বার্তা এনেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধীদের মাঝে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে গণতান্ত্রিক সংলাপ ও মিথস্ক্রিয়া যেন ব্যাহত না হয়।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করা সম্ভব নয়। দেশের সংকট এখনো কাটেনি, বাংলাদেশবিরোধী শক্তিরা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। রাজনৈতিক বিভাজন এবং অভ্যুত্থান শক্তিগুলোর মধ্যে অনৈক্য সামরিক, বেসামরিক প্রশাসন, ব্যবসায়ী মহল ও বৈদেশিক ষড়যন্ত্রকারীদের সুবিধা দিতে পারে।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা আমাদের লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে জনগণের কাছে যাব। নীতিগত পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান যে ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করেছে তা থেকে আমরা সরবো না। জাতীয় নাগরিক পার্টি শাসন কাঠামোয় মৌলিক পরিবর্তন চায়। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি আধুনিক রিপাবলিক গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের দ্রুত বিচার আমাদের সবার দাবি। আমরা তাদের দৃশ্যমান বিচার চাই। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফায়সালা বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ ৫ আগস্ট তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন হিসেবে আয়োজন করা যেতে পারে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা জরুরি। এটি শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি ও গণআন্দোলনের পক্ষগুলোর সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, মিডিয়া ও আমলাতন্ত্রের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta