তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আন্দোলন শুরু
রংপুর বিভাগের পাঁচটি জেলায় তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আন্দোলন শুরু করেছে 'তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন'।
আন্দোলনের উদ্দেশ্য তিস্তাপাড়ের মানুষদের একত্রিত করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিস্তা সমস্যার গুরুত্ব তুলে ধরা।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর এবং গাইবান্ধা জেলার ১১টি স্থানে সমাবেশ, পদযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু ও গঙ্গাচড়া মহিপুর বাজারের কাছাকাছি তিস্তা নদীর তীরে রংপুর জেলার কর্মসূচি হবে।
আন্দোলন চলাকালে তিনটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে—একটি সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, একটি রাত্রিযাপন এবং একটি খাবার প্রস্তুতির জন্য।
গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিবুর রহমান জানালেন, “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই” স্লোগান নিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে কর্মসূচি পালিত হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের থেকে পানির ন্যায্য অংশ আদায়ের দাবি তোলা হবে।
লালমনিরহাটের কালিগঞ্জের আনিছুল ইসলাম জানান, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের জন্য প্যান্ডেল, সমাবেশ মঞ্চ, পর্যাপ্ত আলো ও পানির ব্যবস্থা এবং পয়ঃনিস্কাশনের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "যদি সরকার তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে, তবে আন্দোলন চলবে।”
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, “তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুধুমাত্র কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি নয়। এটি রংপুর বিভাগের জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে, যা তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রমাণিত।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৭ ফেব্রুয়ারি তিস্তাপাড়ে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করতে তিস্তাপাড়ে উপস্থিত হবেন।
ইএইচ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta