লোহাগড়ায় বাঙ্গির রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এ বছর বাঙ্গির বিপুল ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। কম পরিশ্রমে ভালো ফলন পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে বাঙ্গি চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন।
মাঠপর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ লোহাগড়ার কোলা, পারমল্লিকপুর, নোয়াপাড়া, কোলা দিঘলিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে কয়েক হাজার কৃষক বাঙ্গি চাষ করেছেন। বাঙ্গি চাষে অনেক পরিবার আজ সচ্ছল। অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো সার-বীজ পেয়ে জমিতে ভালো ফলন হয়েছে।
কোলা, পারমল্লিকপুর ও দিঘলিয়া এলাকার একাধিক কৃষক বিডি২৪লাইভকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় ১ টন বাঙ্গি জমি থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। লোহাগড়া বাজার, দিঘলিয়া বাজার, এড়েন্দা বাজার, শিয়রবর বাজার, মানিকগঞ্জ বাজার, মিঠাপুর বাজার এবং লাহুড়িয়া বাজারে বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সরাসরি মাঠ থেকে বাঙ্গি কিনছেন।
আকার ভেদে প্রতিটি বাঙ্গির দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। বাঙ্গি মূলত বেলে ও আঠালে জমিতে ভালো হয়। আঠালে জমির বাঙ্গি খেতে আরও সুস্বাদু হয় এবং তরকারি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
কৃষক মো. বিল্লাল হোসেন বিডি২৪লাইভকে জানান, এক একর জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন এবং দারুণ ফলন পেয়েছেন। তিনি নিজেই বাজারে খুচরা বাঙ্গি বিক্রি করে ভালো আয় করছেন।
কৃষক মো. রাসেল মোল্যা, মতি মিয়া ও মুরাদ ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, মাঘ মাসে বাঙ্গির বীজ রোপণ করা হয় এবং এক একর জমিতে এক মন টিএসপি, এমপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে বাঙ্গি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। তবে এ উপজেলায় বাঙ্গি সংরক্ষণের জন্য কোনও হিমাগার নেই, ফলে অবিক্রীত বাঙ্গি গরু-ছাগলকে খাওয়াতে হয়।
বাঙ্গি ব্যবসায়ী সুমন ও বোরহান বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘বাঙ্গি যেমন কৃষকদের মুখে হাসি এনেছে, তেমনি অনেক বেকার যুবককেও আয় করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
লোহাগড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বাঙ্গি চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। কৃষকদের ফলন বাড়াতে নিয়মিত পরামর্শও দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta