ইন্টারপোলের মাধ্যমে পুতুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পতিত স্বৈরাচারী নেতা শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রবিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ প্রদান করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পর আদেশ দেন।

আগে, ১০ এপ্রিল প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।

তিনটি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, তাদের দুই মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ ১৬ জন আসামি অভিযুক্ত।

তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দের প্রমাণ পাওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আলাদা আটটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুদক এই মামলাগুলি ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দায়ের করে।

চার্জশিটে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দের জন্য যোগ্য না হয়েও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ পেয়ে দুর্নীতি করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।