ধান রাখার ডোল বিলুপ্তির পথে
গ্রামাঞ্চলে এখন আর আগের মতো বাঁশের তৈরি ধানের ডোল বা মাচা দেখা যায় না, যা স্থানীয়রা ধানের গোলা হিসেবে চেনেন। নড়াইলে বর্তমানে ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ চলছে পুরোদমে।
ধান কাটা, মাড়াই, সিদ্ধ করা, শুকানো, এবং ময়লা পরিষ্কার করার পর ধান সংরক্ষণের প্রস্তুতি শুরু হয়। এসব কাজ শেষ হওয়ার পর ধান ঘরে তুলতে ব্যবহৃত হতো ডোল। মাড়াইয়ের পর এক বছরের জন্য ধান সংরক্ষণে এই ডোলগুলো ব্যবহার করা হতো, কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এই ডোলগুলো আজ বিলুপ্তির দিকে চলে গেছে।
গ্রামাঞ্চলে একসময় বাঁশ দিয়ে দক্ষ কারিগররা হাতে তৈরি করতেন এসব ডোল। এখন এই ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে শুধুই গল্প, আর প্রবীণদের কাছে স্মৃতি। গ্রামগুলিতে বাঁশ দিয়ে গোলাকৃতির ডোল তৈরি করে উঁচু বাঁশ বা কাঠের মাচায় রাখা হতো। একসময় এসব ডোল নির্মাণে বিশেষ দক্ষ শ্রমিকরা কাজ করতেন, কিন্তু এখন তারা অন্য পেশায় চলে গেছেন।
ধানের ঐতিহ্যবাহী বাঁশের ডোলের জায়গা নিয়ে নিয়েছে পাটের বস্তা, টিন এবং প্লাস্টিকের ড্রাম। এগুলোর তৈরি সহজ এবং এগুলো বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। মানুষ বাঁশের গোলা বা ডোলের বদলে এসব উপকরণ ব্যবহার করতে শুরু করেছে, ফলে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে এবং গ্রামে বাঁশের ঝাড়েরও অভাব দেখা দিয়েছে। তবুও, ধান সংরক্ষণের জন্য বাঁশের ডোল একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ছিল।
নলদী ইউনিয়নের ষাটোর্ধ্ব সিরাজুল কাজী বিডি২৪লাইভকে জানান, সময়ের সাথে ধান সংরক্ষণের পদ্ধতি বদলে গেছে।
এছাড়া কৃষকরাও এখন আগের মতো ধান মজুত রাখতে পারেন না, তাই একসময়কার গুরুত্বপূর্ণ ধানের গোলা আজ আর খুব একটা দেখা যায় না।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta