বসুন্ধরা সিটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান শপিং মল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ভিড় করে থাকে। বিশেষ করে ঈদ আসন্ন হওয়ায় গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে শপিং মলটি ছিল মানুষের পদচারণায় ভরপুর। সকাল থেকেই ক্রেতারা শপিং করতে আসেন বিভিন্ন আউটলেটে। ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, পান্থপথ, গ্রিন রোড, মগবাজার সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন সবাই। বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা হাসান আলিম পরিবারের সঙ্গে শপিং করতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে একসঙ্গে সবার জন্য ঈদের পোশাক পাওয়া যায়, তাই আমি এখানে আসি। ভালো অফারও দিচ্ছে।’
ফ্যাশন হাউস আমব্রেলার ম্যানেজার রকিবুল ইসলাম জানান, ‘এখানে পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, শার্টসহ সব পোশাক পাওয়া যায়। ঈদের উপলক্ষে কিছু পণ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিক্রয়কর্মী সুমন বলেন, ঈদ উপলক্ষে নির্দিষ্ট ডিজাইনের পাঞ্জাবিতে ২৫ শতাংশ ছাড় রয়েছে। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্রেতারা আসছেন, আর এখন পুরোপুরি ঈদের শপিং শুরু হয়েছে।’
মাইক্রোব্র্যান্ডে রয়েছে লিমিটেড অফার। দুটি পণ্য একসাথে নিলে ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাবে এবং তিনটি পণ্য নিলে ৯৯০ টাকায় বলে জানান ম্যানেজার উবায়দুল হক। পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষত যাদের আয় সীমিত, তাদের জন্য খরচ কমানোর চাপ রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আসা ইকরামুল ইসলাম বলেন, ‘এইবার দাম অনেক বেড়েছে, আগে যা কিনতাম, এবার সেটা কমাতে হচ্ছে।’ বিক্রেতারা জানান, আমদানি করা পোশাকের দাম এইবার তুলনামূলক বেশি, বিশেষত শিশুদের পোশাক যা বেশিরভাগই ভারত ও চীন থেকে আসে। তবে দেশীয় পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কে ক্রাফটের বিক্রয়কর্মী জানান, আগামী সপ্তাহে আরও বিক্রি বাড়বে। এবারের ঈদ শপিং রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে গেছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং মল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শপিং মল হিসেবে একসাথে দেশের বড় ব্র্যান্ডের শোরুম ও আউটলেটগুলো নিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে। একদিকে বিক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে নতুন ডিজাইন নিয়ে দোকান সাজিয়েছেন, অন্যদিকে ক্রেতারা ভিড় করছেন বিপণি ও বুটিক হাউসগুলোতে। শপিং মলের প্রবেশ পথে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। দর্জিবাড়ি ফ্যাশন শোরুমের ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রেতা রয়েছে, তবে ঈদের বেচাকেনা আরও বাড়বে। ছেলেদের পোশাকের চাহিদা বেশি রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে আরও বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’ রঙ বাংলাদেশ আউটলেটের সহকারী ম্যানেজার জানান, ‘আমাদের কালেকশনের ৭০ শতাংশই নতুন পোশাক। বিশেষ করে শিশুদের পোশাকের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং বিক্রিও আশানুরূপ হচ্ছে।’
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta