সরকারি তিতুমীর কলেজকে ঢাকার সাতটি কলেজের সঙ্গে একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি প্রশাসনিক কাঠামোর প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। একইসঙ্গে, তারা অভিযোগ করেছেন যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তিতুমীর কলেজকে এই কাঠামোর আওতায় আনার চেষ্টা করা হয়েছে। 

রোববার সন্ধ্যায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। 

সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, নতুন কাঠামোর প্রস্তাব শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভায় তিতুমীর কলেজের চারজন প্রতিনিধি আমন্ত্রিত হলেও, তিনজন সরাসরি এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া তারা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না এবং স্বার্থান্বেষী এই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেন। 

তিনি আরও বলেন, উপস্থিত না থাকা তিনজন শিক্ষার্থীর নাম যথাক্রমে আমিনুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. মেহেদী হাসান। অন্যদিকে, সভায় অংশ নেওয়া প্রতিনিধি রেজায়ে রাব্বি জায়েদ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় আপসহীন থাকার ঘোষণা দেন। 

অনায্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্য, স্বকীয়তা এবং ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে কখনও আপস করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। তারা যে কোনো অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত। 

এর আগে, গতকাল দুপুরে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নাম নির্ধারণ করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। 

সাতটি সরকারি কলেজ হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।

রার/সা.এ