কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মার্ক কার্নি। এর মাধ্যমে জাস্টিন ট্রুডো সরকারের অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো।

শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মার্ক কার্নি। তার আগে ১০ মার্চ তিনি লিবারেল পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন। দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আজ প্রধানমন্ত্রীর পদও গ্রহণ করেছেন।

মার্ক কার্নি এমন সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন, যখন কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের মুখোমুখি। প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে বক্তব্য দেন। কানাডিয়ান পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ককে তিনি ‘দেশের সবচেয়ে বড় সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “আমরা এই বাণিজ্যযুদ্ধ চাইনি, তবে কানাডীয়রা সবসময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করে। আমেরিকানদের ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলার মতো বাণিজ্য যুদ্ধেও কানাডা জয়ী হবে।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়ে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ নামে সম্বোধন করেন। এই মন্তব্যের জবাব দিয়ে মার্ক কার্নি বলেন, “আমেরিকা কখনোই কানাডা হবে না, এবং কানাডা কখনো আমেরিকার অংশ হবে না।”

এবিসি নিউজ সম্প্রতি জানিয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি এপ্রিলের শেষে কানাডায় নতুন সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন।

গত ৬ জানুয়ারি, জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী পদ ও দলীয় নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন, তবে সম্প্রতি তার জনপ্রিয়তায় পতন ঘটে। এর ফলস্বরূপ তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন, এবং আজ ছিল তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ দিন।

ইএইচ