মধুপুরে আলোচিত শিশুকে বিক্রির ঘটনার রহস্য উন্মোচিত
টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিশু বিক্রির আলোচিত ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবীর রুবেলের দিকনির্দেশনায় এবং তদন্ত ওসি মো. রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ভুঞাপুর এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে বিক্রি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় শিশুটিকে অর্থের বিনিময়ে গ্রহণ করা দম্পতিকেও থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শিশুটিকে উদ্ধারের পর থানায় এনে তার মা লাবনী আক্তার একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন।
লাবনী জানান, দুই বছর আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি রবিউল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। চার মাস আগে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়।
তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী কোনো কাজ না করায় সংসারে অনাহারে দিন কাটত এবং প্রায়ই ঝগড়া হতো। এমন পরিস্থিতিতে, গত বৃহস্পতিবার লাবনী তার চার মাসের শিশুকে নিয়ে বোনের বাড়ি ভুঞাপুরে যান। সেখানে আগে থেকেই তার পরকীয়া সঙ্গী সজীব ও এক দম্পতির সঙ্গে ৪৫ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রির পরিকল্পনা হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুটিকে সেই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং সজীব সেখান থেকে সরে পড়ে। পরে সজীব গোপনে ২০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। এতে লাবনী ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সব কিছু হারিয়ে, সে স্বামী রবিউলের কাছে ফিরে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানায়, তখনই ঘটনা ফাঁস হয়।
মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবীর রুবেল বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনা জানার পর লাবনী আক্তারকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি স্বীকার করেন, ভুঞাপুরে ৪০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটিকে উদ্ধার করে বর্তমানে মায়ের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta