সংসদ রাষ্ট্র সংস্কার করবে
‘নির্বাচিত সংসদই রাষ্ট্র সংস্কার করবে’ – এই মূল ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো নিয়ে তাদের মতামত প্রস্তুত করেছে। আজ, বিএনপি ঐকমত্য কমিশনে তাদের প্রস্তাব জমা দেবে।
সূত্র জানায়, সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে পরামর্শ চাওয়া হলেও যেসব সংস্কার এখনই প্রয়োজন নেই, সেগুলোর ওপর তারা মতামত দিচ্ছে না। তারা একটি সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারে গুরুত্ব দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেয়া স্প্রেডশিটে সমস্ত বিষয় বিস্তারিত উঠে আসেনি, তাই আমরা স্প্রেডশিটের সাথে একত্রে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিচ্ছি, যাতে বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ না থাকে।’
দলীয় দায়িত্বশীলদের মতে, বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাবের আলোকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে মতামত প্রস্তুত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মৌলিক সংস্কারে বিএনপির কোন আপত্তি নেই। তবে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিএনপি একমত নয়, কারণ এতে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। নীতিনির্ধারকরা মনে করেন যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান এবং নির্বাচনব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার অপরিহার্য।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ও ‘গণপরিষদ নির্বাচন’ বাতিল করেছে। তারা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন বা প্রাদেশিক সরকারের ফর্মুলাতেও সম্মত নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে করার বিরোধিতা করেছে। ২১ বছর বয়সে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার বিষয়ে বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে।
নেতারা বলছেন, এ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে, তবে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে দলের অবস্থান রয়েছে। দলটি মনে করে, পূর্বের সরকার সংবিধান দলীয়করণের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিপক্ষে কাজ করেছে। এই কারণে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি তুলেছে বিএনপি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে ৬ মার্চ স্প্রেডশিট পাঠিয়েছিল, যাতে ১৩ মার্চের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবের ওপর মতামত জানাতে বলা হয়।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta