সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচনকে একে অপরের বিপরীতে দাঁড় করানো হচ্ছে। গণতন্ত্র মানে হলো স্বাধীনভাবে নির্বাচন করা, কিন্তু এখন এটি সংস্কারের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন হবে না, কিন্তু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা কখনো শেষ হয় না। এটি কোনো নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় না। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১২-দলীয় জোট এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সভাপতিত্বে ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদার পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম স্বপন।
তারেক রহমান বলেন, যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছি, আসুন আমরা ঐক্য বজায় রেখে জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু যখন সমস্যার সৃষ্টি হবে, তখন আমরা আলোচনায় বসব। যেকোনো মূল্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে, যাতে পতিত স্বৈরাচার শক্তি আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে না পারে। যদিও আমাদের আদর্শ আলাদা, তবুও আমরা একযোগে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করি। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো ভোটাধিকার, এবং যদি জনগণ তাদের চাওয়া অনুযায়ী ভোট দিতে না পারে, তাহলে গণতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করবে না।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশ এবং দেশের জনগণের জন্য কাজ করা।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta