২০২৬ সাল থেকে ৭২৯ স্কুলে ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি গ্রহণ নিষিদ্ধ
প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয় নীতি ২০১০ অনুসারে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এর আওতায় ৭২৯টি সরকারি স্কুলে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং শিক্ষক সংকটের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে পারেনি। এসব সমস্যার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে এবং ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব স্কুলে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের একটি নির্দেশনা প্রদান করে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষানীতি ২০১০ অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর, অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা ছিল। তবে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এবং অবকাঠামোর অভাব এবং শিক্ষক সংকটের কারণে এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনে এর সাথে সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে দেশে মোট ৬৫,৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৯টি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিদ্যালয়গুলোতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত পরামর্শক কমিটি তাদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে, প্রাথমিক স্তরের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এই ভিত্তিতে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ অনুযায়ী, দেশের শিক্ষার স্তর তিনটি হবে: প্রাথমিক (প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি), মাধ্যমিক (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং উচ্চশিক্ষা। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পাঁচ বছর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, তারপর নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার স্তর রয়েছে।
শাকিল/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta