জমজমাট ইফতার বাজার বেইলি রোডে
গত বছর অগ্নিকাণ্ডের কারণে বেইলি রোডের ইফতার বাজার জমে ওঠেনি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত বেইলি রোডের ইফতার বাজার। বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতাদের সন্তুষ্ট রাখতে।
শুক্রবার রাজধানীর বেইলি রোডের ইফতার বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এখানে ইফতার কেনাকাটার জন্য ক্রেতাদের বেশ ভিড়। বেইলি রোডের নামকরা রেস্টুরেন্টগুলো নানা রকম সুস্বাদু ও ঐতিহ্যবাহী ইফতার সামগ্রী নিয়ে এসেছে। পুরান ঢাকার চকবাজারের মতোই বেইলি রোড ইফতারপ্রেমীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে। নবাবী ভোজ, বেইলি পিঠা ঘর, ক্যাপিটাল, বেকারি সুইস ও ফখরুদ্দিন বাবুর্চি নানা পদের ইফতার সরবরাহ করছে।
তথ্য অনুযায়ী, নবাবী শাহী হালিম ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, ঘি ও জাফরানে ভাজা নবাবী স্পেশাল শাহী জিলাপি ৪৫০ টাকা কেজি, বোম্বে জিলাপি ৩৫০ টাকা কেজি, রেশমি জিলাপি ৬০০ টাকা কেজি, নবাবী জর্দা ২৫০ টাকা কেজি, নবাবী ক্ষিরসা ফালুদা ৩৫০ টাকা কেজি, জাফরানি পেস্তা বাদাম শরবত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, নবাবী বোরহানি ১২০ থেকে ২৩০ টাকা বোতল, নবাবী লাবাং ১২০ টাকা লিটার, সুইট লাচ্ছি ২৫০ টাকা লিটার, চিকেন ঝাল ফ্রাই ১৪০০ টাকা কেজি, বিফ ভুনা ১৬০০ টাকা কেজি, মাটন ভুনা ১৮০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শাহী ছোলা ৩৫০ টাকা কেজি, পেঁয়াজু ও বেগুনি ১৫ টাকা পিস, চিকেন সমুচা, অনথন ও ফুলকপির চপ ৩০ টাকা পিস, মধুবান ৫০ টাকা পিস, মুরালি ৩০০ টাকা কেজি, ডিম চপ ও স্প্রিং রোল ৩০ টাকা পিস, স্পেশাল বাটার নান ৭০ টাকা পিস, রুমালি রুটি ৪০ টাকা পিস, চিকেন রেশমি কাবাব ২৮০ টাকা পিস, শিক কাবাব ২২০ টাকা পিস, চিকেন সাসলিক ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেইলি রোডের নবাবী ভোজ থেকে ইফতার কিনতে এসেছিলেন মমতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, "প্রথম রমজান থেকেই আমরা এখান থেকে ইফতার নিচ্ছি। বেইলি রোডের ইফতার সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত। প্যাকেজিংও ভালো এবং দাম তুলনামূলক সহনীয়।"
আসাদুজ্জামান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, "নবাবী ভোজের হালিমের স্বাদ অন্যদের থেকে আলাদা। এখানে বিভিন্ন দামের হালিম পাওয়া যায়, কেউ চাইলে ৫০০ টাকা, আবার কেউ ১০০০ টাকার হালিম নিতে পারে।"
বেইলি রোডের ইফতার বাজার মানেই ক্যাপিটালের ইফতারির প্রসঙ্গ আসে। এখানে বিফ চাপ, কালো ভুনা, ব্রেন মাসালা ইত্যাদি সুস্বাদু আইটেমের সমাহার রয়েছে। বিশেষ করে হালিমের চাহিদা তুঙ্গে। সুইস বেকারিতে বিক্রি হচ্ছে চিকেন কোপ্তা, চিকেন হানি গ্লোসিং, চিলি চিকেন, চিকেন ড্রামস্টিক, সুইস গরুর হালিমসহ আরও অনেক কিছু।
নবাবী ভোজ ও বেইলি পিঠা ঘরে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়েছে। বেইলি পিঠা ঘরের গুড়ের জিলাপিসহ বিভিন্ন রকম পিঠা বেশ বিক্রি হচ্ছে।
বেইলি রোডের ফখরুদ্দিন বাবুর্চির দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম মুখরোচক খাবার। সেখানে ইফতার কিনতে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, "প্রতিদিন ভাজাপোড়া খাওয়া হয়, তাই আজ পরিবারকে বিরিয়ানি ও বোরহানি খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta